শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা, আহত ২০

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

জ্বালানি তেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও লুটপাটের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা করেছে পুলিশ। হামলায় সংগঠনগুলোর ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
রবিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ হামলায় নেতৃত্ব দেন নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ী-হকারদের সংঘর্ষের সময় ‘গুলি শেষ হয়ে গেছে’ বলায় এক কনস্টেবলকে থাপ্পড় মেরে সমালোচিত হওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে বাম সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলকারীরা শাহবাগ ও কাঁটাবন মোড় ঘুরে আবার শাহবাগ মোড়ে এসে মূল সড়কসংলগ্ন ফুটপাতে সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হঠাৎ লাঠিপেটা শুরু করে। কর্মীদের পাশাপাশি ব্যাপক লাঠিপেটা করা হয় সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদেরও। নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে জাতীয় জাদুঘর পর্যন্ত সরিয়ে দেয় পুলিশ। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাম সংগঠনগুলো। হামলার পর শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে যান বাম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। সেখানে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের (নজির আমিন চৌধুরী-রাগীব নাঈম অংশ) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অনিক রায় বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
অনিক রায় বলেন, হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টায় মধুর ক্যানটিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এডিসি হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, হামলার অভিযোগ অসত্য। পুলিশ তাদের (বাম সংগঠন) ওপর কোনো হামলা করেনি। তারাই বরং পুলিশের ওপর হামলা করেছে।

Related posts

Leave a Comment