আমার বিশ্বাস

-কাজী মোঃ হাসান

ঘন্টা তিনেক হলো শুয়ে আছি, শুধু এপাশ ওপাশ
তবু ঘুম নেই চোখে,
অন্যদিন হলে নয়টার পরেই ঢলে পড়তাম
সাধ্য নেই আমায় রুখে।
শুধু আজ নয়, মাস এক ধরেই চলছে এমন
ঘুমহীন রাত্রিবাস,
অথচ দিনের বেলায়- সোফাতেই ঢুলু ঢুলু চোখ
কাজের গলায় ফাঁস।
বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না, টিভিতেও মন নেই
অবসন্ন ক্লান্ত শরীর,
সময় কাটাতে কখনো রিং দেই এখানে ওখানে
মাথায় কথার ভিড়।
কিন্তু প্রায় সময়ই কেউ টেলিফোন ধরে না- ব্যস্ত
এতো অবসর কার?
মাঝে মাঝে বইটা হাতে নেই কিন্তু ওই পর্যন্তই
চুপচাপ ঘন্টা হয় পার।
কাজের বুয়াটা চানাস্তা দিয়ে বার বার ডাকে- খান
ঠান্ডা হয়ে গেলো সব,
কি করেই বা খাবো একদম ইচ্ছে করে না খেতে
যেন থেমে গেছে কলরব।
কাজে বসাতে পারিনা মন অজান্তে ভুলে যাই সব
মনেতে থাকেনা মন,
হয়তো এজন্যই সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে
কাছে নেই আপন জন।
প্রায় দু’মাস হাসপাতালে থেকে বাসায় ফিরেছি
আবার গিয়েছি যেই,
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার বললেন- ভর্তি হন
অবস্থাটা ভালো নেই।
বুঝলাম, সময় ঘনিয়ে এসেছে ওই পারে যাবার
এবার অপেক্ষার পালা,
ভয় কি, একদিন না একদিন যেতে তো হবেই
শুধু চাই রহমতের মালা।
নই ফেরেস্তা নই সাহাবা- আমি সাধারণ মানুষ
গুনাহের অন্ত নেই,
তবু আশা ছাড়িনি নিশ্চয়ই আল্লাহ করবেন দয়া
হাশরে দাঁড়াবো যেই!
আরশ আজিমের অধিপতি তিনি রহিম রহমান
তাঁর বুকে শুধু মায়া,
এতো আদরের মানুষ, সকল সৃষ্টির সেরা জীব
তাই সর্বত্র দেন ছায়া।
ফেরেশতাদের বাঁধা শয়তানের হুমকি উপেক্ষা করে
শ্রেষ্ঠ স্থান দিলেন যারে,
কোন পাষাণে বলবেন তিনি নিয়ে যাও এবার
দোজখে পুড়াতে তারে?
না না আমি বিশ্বাস করি না, এমন হতেই পারে না
তিনি শ্রেষ্ঠ মহান,
পাপ তিনি করবেনই ক্ষমা এটা মোর অধিকার
আমার বিশ্বাস, মান।

Related posts

Leave a Comment