শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে টানা কয়েক দিনের মতো শুক্রবারও বিক্ষোভে উত্তাল দেশটির বিভিন্ন রাজ্যসহ উত্তরপ্রদেশ। এসময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন।
শুক্রবার সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। ফিরোজাবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হন।
এদিন সকালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বুলন্দশহর, গোরক্ষপুরসহ একাধিক জায়গায় পথে নামেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে ব্যাপক ভাঙচুরও চলে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়িতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের।
বুলন্দশহরের জেলা প্রশাসক রবীন্দ্র কুমার বলেন, ‘মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তা চালু হবে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাজ্যের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই পরিস্থিতিতেই এ দিন সকালে বুলন্দশহরে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে আন্দোলনকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করে পুলিশ।
পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোরক্ষপুরও। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এক ভিডিওতে দেখা গেছে,
বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। এসময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পাল্টা ইট নিক্ষেপ করে পুলিশও। কাঁদানে গ্যাসের সেলও নিক্ষেপ করে পুলিশ।
১৪৪ ধারা চালু থাকায় এদিন সকালের দিকে তেমন ঝামেলা না বাধলেও, বেলা বাড়তেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। রাজ্যের বাহরাইচে পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশে। এসময় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হলে রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সূত্র: আনন্দবাজার