জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টারঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ যথাযথ মর্যাদায় আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

সভায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় জানানো হয়, আগামী ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং এ উপলক্ষে অনার গার্ড প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হবে ১০০ জন শিশুশিল্পীর অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, ১০০টি পায়রা অবমুক্তকরণ ও ১০০ টি বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে। এ অনুষ্ঠানে থাকছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখা নিয়ে বিশেষ প্রকাশনা ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সেরা ১০০টি রচনার সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন। একই অনুষ্ঠানে মেধাবী শিশুদের মাঝে ১০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে। সাংস্কৃতিক পর্বে থাকছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, কাব্য নৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বই মেলা উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার-সহ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

সভায় প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ যথাযথ মর্যাদায় আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় প্রতিমন্ত্রী জানান, মুজিব শতবর্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক লাখ নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে। তিনি আরো বলেন, মুজিব শতবর্ষ হবে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে বন্ধের ভিত্তি বছর। বাল্যবিয়ে বন্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে সকল জেলা প্রশাসকের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আশা করেন, সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশকে বাল্যবিয়ে মুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

Related posts

Leave a Comment