শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবেছে টাইগারদের অ্যান্টিগা টেস্ট। তবে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। জোড়া ফিফটিতে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন লজ্জার ইনিংস হার থেকে। তবে সাকিবের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং পছন্দ হয়নি প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। প্রিয় শিষ্যকে শট নির্বাচনে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। যদিও স্বভাবজাত খেলাটাই খেলতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। জানিয়ে দিয়েছেন, খেলার ধরনে কোনো পরিবর্তন আনবেন না তিনি।
ম্যাচশেষে সাকিব বলেন, ‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে আমি ইতিবাচক ছিলাম। সহজভাবে ভাবছিলাম, মারার বল পেলে মারব, না হয় ঠেকাব। সব সময় গেম প্ল্যান এমন সাধারণ রাখি। এভাবেই সফল হয়েছি।
আমি এটা পরিবর্তনও করব না!’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দ্ইু ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারায় টাইগাররা। খাদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে একশো পার করান সাকিব। অধিনায়কের ৬৭ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ১০৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ধসের কবলে পড়েছিল টাইগাররা। আবারো ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখান সাকিব। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে ৯৯ বলে ৬৩ রান নিয়ে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক। সাকিব দেখেশুনে খেললে হয়তো দলীয় সংগ্রহটা ২৪৫ এরও বেশি হতে পারতো। কারণ অধিনায়ককে বেশ ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন ৬৩ রান করা নুরুল হাসান সোহান।
প্রথম ইনিংসে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ফিল্ডারের তালুবন্দি হন সাকিব। দ্বিতীয় ইনিংসে কেমার রোচের অফ স্টাম্পের বাইরের বল লফটেড ড্রাইভে কাভার বাউন্ডারিতে পাঠাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। সেকারণেই অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনশেষে রাসেল ডমিঙ্গো সাকিবকে দেখেশুনে খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তাকে আক্রমণ এবং ডিফেন্সের ভারসাম্যটা খুঁজে বের করতে হবে। মাঝেমধ্যে প্রতি-আক্রমণ করতে হবে। কিন্তু তাকে মারার সময় মাথার অবস্থান, শরীরের অবস্থান ঠিক রাখতে হবে। কারণ, সে একজন সামর্থ্যবান ব্যাটসম্যান, যেটা সে আজ দেখিয়েছে।’
ডমিঙ্গো বলেছিলেন, ‘সাকিব সব সময়ই রান করার চেষ্টা করে। আমরা চাই না সে স্লগ করুক। আমরা চাই সে ভালো শট খেলুক। সেটা করেই প্রতিপক্ষের ওপর কিছুটা চাপ প্রয়োগ করুক। সেও জানে যে শুরুর সময়টা কাটিয়ে দিলে তাকে দীর্ঘ ইনিংসটা খেলতে হবে। তাকে সেঞ্চুরি করতে হবে।’