শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ঝিনাইদহে একটি জালিয়াত চক্র জাল ভাউচার তৈরি করে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের টাকা তুলে নিচ্ছে। ইতিমধ্যে দুটি ব্যাংক শাখা থেকে ১১ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে জালিয়াত গ্যাং। এ নিয়ে জেলার ব্যাংকগুলোতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রবিবার ঝিনাইদহ শহরের হামদো অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে জাল ভাউচার ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৫ টাকা তুলে নিয়ে যায় জালিয়াত চক্রের সদস্যরা।
ব্যাংকটির শাখা ম্যানেজার আরিফ উদ্দিন জানান, তারা সাতটি জাল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়ে গেছে। সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে ১১টা ১০ মিনিটের মধ্যে টাকা তুলে নিয়ে যায়। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানা যায়, জালিয়াত গ্যাংয়ের সাত-আট জন সদস্য ব্যাংকে ঢুকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। তারা ব্যংকের নকল সিল, ম্যানেজারের সিল ব্যবহার করে। এমনকি ম্যানেজারের স্বাক্ষরও জাল করে। সকালে ব্যাংক খোলার পর ভিড়ের মধ্যে টাকাগুলো তুলে নিয়ে যায়। ঘটনা জানার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয় বলে শাখা ম্যানেজার জানান।
অগ্রণী ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার মলয় কুমার পাল জানান, শুধু ঝিনাইদহে নয়, সারা দেশেই একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র এভাবে জাল ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে। তিনি তার অধীন অগ্রণী ব্যাংক শাখাগুলোকে আরো সতর্ক হতে বলেছেন। থানায় মামলা হয়েছে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যান। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। তদন্ত করা হচ্ছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্রের কাজ। এদের নেটওয়ার্ক দেশব্যাপী বলে তিনি জানান।
৮ জুন একই কৌশলে জনতা ব্যাংকের শৈলকূপা শাখা থেকে ৪ লাখ টাকা জাল ভাউচারের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যায় জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। তারা চারটি ভাউচারের মাধ্যে এ টাকা তুলে নিয়ে যায়। পঞ্চম ভাউচারে টাকা তোলার সময় ধরা পড়েন সুমি নামে প্রতারক চক্রের এক নারি সদস্য। এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করে। শৈলকূপা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা গ্রেফতারকৃত নারীকে রিমান্ডে এনে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করবেন।