শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
বাংলাদেশের ১৪টি বন্যা উপদ্রুত (উপকূলীয় এলাকার বাইরে) জেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক উন্নতির জন্য বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। যার মেয়াদ হবে ৩০ বছর। প্রথম ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। অর্থাৎ এ সময়ে কোনও কিস্তি দেওয়া লাগবে না। শনিবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারাবিলিটি রিডাকশন (রিভার) প্রকল্পের অধীনে বিশ্বব্যাংক এই ঋণ দেবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হবে। প্রকল্পের আওতায় ৫ শতাধিক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, সংযোগ সড়ক এবং জলবায়ু সহনশীল কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। স্বাভাবিক সময়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হবে। এসব কেন্দ্রে সৌরবিদ্যুৎ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সুবিধা থাকবে।
উপকূলীয় এলাকার বাইরে ১৪টি জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এসব জেলা হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এ বিষয়ে বলেন, সিলেট অঞ্চলে সাম্প্রতিক হৃদয়বিদারক বন্যা পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের গত পাঁচ দশকের দীর্ঘ অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে এ প্রকল্প উপকূলীয় এলাকার বাইরে দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এটি এই দেশকে ‘দুর্যোগে সাড়া’ দেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার’ দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।
যে ১৪টি জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে সেগুলো হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ।
বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ সংস্থাটির ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের (আইডিএ) স্বল্প সুদের ও সহজ শর্তের ঋণ, যার মেয়াদ হবে ৩০ বছর। প্রথম ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকবে। অর্থাৎ এ সময়ে কোনও কিস্তি দেয়া লাগবে না।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রথম উন্নয়ন সহযোগী এবং এ পর্যন্ত ৩৭ বিলিয়ন ডলারের অনুদান এবং সুদমুক্ত ও নমনীয় ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আইডিএ ঋণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।