শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় নিশাত আহম্মেদ খান নামের আওয়ামী মহিলা লীগের এক নেত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
রবিবার (১৭ জুলাই) ভোরে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন তাকে (নিশাত) কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ। এ মামলার বাদী কুমিল্লা নগরীর রাজাপাড়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মিনহাজুর রহমান। তিনি ইংল্যান্ড প্রবাসী ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে ইংল্যান্ড প্রবাসী ব্যবসায়ী মিনহাজুর রহমানের একাধিক বাড়ি ও জায়গা-জমি রয়েছে। তার স্থাবর-অস্থাবর কিছু সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় তা রক্ষার জন্য তিনি (মিনহাজ) আইনজীবী পরিচয়দানকারী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নিশাতকে দায়িত্ব দেন।
মামলার বাদী বলেন, নিশাত তার সরলতার সুযোগ নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য জাল দলিল তৈরি করে। এ ঘটনায় তিনি নিশাত আহম্মেদ খানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে গত ৭ জুলাই রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন শহিদুল হক স্বপন, ফাহমিদা জেবিন, জহুরুল ইসলাম জুয়েল, আফসানা মুনতাহা মৌ।
বাদী মিনহাজুর রহমান আরও বলেন, নিশাত একজন প্রতারক। ২০১৭ নিশাত নিজেকে পাসপোর্টে তার (মিনহাজ) স্ত্রী বলে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণার শুরু করে। এরপর তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর নিশাত প্রবাসী মিনহাজের ঢাকার ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাট ও কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটের একটি বাড়িও দখল করে নেয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ সাংবাদিকদের জানান, জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় রবিবার ভোরে প্রধান আসামি নিশাত আহম্মেদ খানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন পারুল সাংবাদিকদের বলেন, নিশাত আহম্মেদ খান এ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণজনিত কর্মকাণ্ডের দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার দল নেবে না।