ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আদিবাসী রাজনীতিবিদ দ্রৌপদী মুর্মু।
সোমবার তিনি শপথ নেন। খবর বিবিসির।
উড়িষ্যা থেকে আসা ৬৪ বছর বয়সি সাবেক এ শিক্ষক এর আগে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শীর্ষ এ পদে মুর্মু প্রথম আদিবাসী নেতা।
শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার শপথগ্রহণ শুধু আমার নয়, দেশের সবার অর্জন; যার মাধ্যমে তারাও এ পদে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতে পারে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দেশটির প্রধান কিন্তু নির্বাহী ক্ষমতা তার হাতে নেই।
নির্বাচনের মাধ্যমে মুর্মু বিরোধীদের প্রার্থী যশোবন্ত সিংহকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
কে এই দ্রৌপদী মুর্মু
মুর্মু প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে। সে সময় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে তার নাম বিবেচনা করা হচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তখন ঝারখণ্ডের গভর্নর।
উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপসী গ্রামে ১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্ম হয় তার। সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সদস্য তিনি। এটি ভারতের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী। গ্রাম পরিষদ প্রধানের এ মেয়ে পড়াশোনা করেছেন রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরের রামাদেবী মহিলা কলেজে। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি উড়িষ্যা সরকারের সেচ ও শক্তি বিভাগের জুনিয়র সহকারী হিসেবে ১৯৭৯-৮৩ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি রায়রংপুরের শ্রী অরবিন্দ ইন্টেগরাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে করেন শিক্ষকতা।
তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, যখন তিনি রায়রংপুরে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। শহরটি তার জন্মস্থান থেকে কাছেই। বিজেপির সদস্য হিসেবে ২০০০ ও ২০০৯ সালে দুইবার বিধায়ক নির্বাচিত হন রায়রংপুর থেকেই।
২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি রাজ্যের নবীন পাটনায়েকের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। প্রাথমিকভাবে তার দায়িত্ব ছিল কর্মাস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের। পরে তিনি ফিসারিজ ও অ্যানিমাল রিসোর্স বিভাগের দায়িত্বও সামলান।
২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মুর্মু বিজেপির আদিবাসী মোর্চার উড়িষ্যা রাজ্যের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তবে ২০১৫ সালে ঝারখণ্ডের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। তিনি রাজ্যের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া উড়িষ্যার প্রথম আদিবাসী নেতা এবং এ পদে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।