শুভদিন চাঁদপুর প্রতিনিধি:
সাগরের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছঘাট। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে ঘাটে আসছেন জেলেরা। সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম কিছুটা কমলেও এখনো নাগালের বাইরে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশের সরবরাহ হচ্ছে এই ঘাটে।
গত ২৩ জুলাই (শনিবার) মধ্যরাতে সাগরে জেলেদের ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। ফলে সাগরে নেমে পড়েন জেলেরা। জেলেদের দাবি, সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে বিপুল ইলিশ ধরা পড়ছে। চাঁদপুরে ইলিশের দাম তুলনামূলক বেশি পাওয়ার আশায় তারা এখানে ছুটে আসছেন।
আর আড়তদারদের দাবি, ঘাটে উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশ যেখানে দিনে দুই থেকে তিন হাজার মণ আসছে, সেখানে চাঁদপুরের স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ আসছে ১০ থেকে ১২ মণ। এজন্য দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ইলিশ সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
আড়তদাররা বলছেন, মৌসুমের সবচেয়ে বেশি ইলিশ এখন ঘাটে আসছে। উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের আমদানি বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে সাগর থেকে ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। শ্রমিকরা ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে আড়তে স্তূপ করে রাখছেন। সবশেষে এসব মাছ নিলামে খরিদ করছেন আড়তদাররা।
তারা বলছে, দুই থেকে তিন দিন আগেও ঘাটে মাছের আমদানি ছিল এক হাজার মণের মতো। সেখানে আজ ইলিশের সরবরাহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘাটে আসা ইলিশগুলো সাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলের। উপকূলীয় অঞ্চলের ইলিশের দাম কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চাঁদপুর মাছ ঘাটে আসা ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঘাটে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, ইলিশের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে এসেছে। তবে পদ্মা-মেঘনার ইলিশের দাম এখনও কমেনি। ঘাটে এখন যেসব মাছ দেখছি তার বেশিরভাগই দক্ষিণাঞ্চলের। চাঁদপুরের মাছ কম দেখা যাচ্ছে। তাই হয়তো লোকাল ইলিশের দাম এখনও কমেনি।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারি মানিক জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত বলেন, দুদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ ঘাটে আসতে শুরু করায় সরবরাহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি এমন থাকলে আশা করছি দাম আরও কিছুটা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। তবে স্থানীয় নদীর ইলিশ খুবই কম।