শুভদিন অনলাইন প্রতিনিধি:
ভোলায় বিএনপির দুই নেতার নুরে আলম ও আব্দুর রহিম হত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু নেই। ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমকে হত্যা করেছে। ১৫ বছরে ৬শ জন গুম, সহস্রাধিক হত্যা ও ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের জেগে উঠে প্রতিবাদ করতে হবে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে নুরে আলম ও রহিম হত্যার বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ৫-৭ তারিখ পর্যন্ত শোক পালন করার জন্য বিএনপি সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করবে, কালো পতাকা উত্তোলন করবে। ৬ আগস্ট ছাত্রদল ঢাকায় সমাবেশ করবে, ৭ আগস্ট কৃষক দল সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।
ভোলায় বিএনপি এবং পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরে আলমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। যথাসময়ে লাশ না এলেও নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগানে স্লোগানে মাতিয়ে তোলেন।
বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জানাজায় যোগ দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের প্রমুখ।
নুরে আলমের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গত রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে নয়াপল্টনে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার সারা দেশে লোডশেডিং ও বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি ছুড়লে ওই দিন ঘটনাস্থলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে তিনিও সেখানে মারা যান।