সোনারগাঁ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা বাবু ও তার মায়ের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাংচুর করে। এসময় মাসুদ রানা বাবু ও তার মাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে তারা। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই মো. সানাউল্লাহ রনি বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কোরবানপূর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মো. রাসেল মিয়ার সঙ্গে পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বাবুর সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এ দ্বন্দের জের ধরে শনিবার সকালে মো. রাসেলের নেতৃত্বে কমল হক , তাহের আলী, ইব্রাহিম, জাহিদ, সুধির, ইমরান, মাহফুজ, টিপু, রানা,লুৎফর, সজিব, শরীফসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্র, চাকু, ছোড়া, রোহার রড, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ওই বাড়ি দুটি ঘরেরর দরজা জানালা ভাংচুর করে বিভিন্ন মাল পত্র লুট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দেওয়ায় সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা বাবু ও তার মা সানোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহত মাসুদ রানা বাবু জানান, রাসেল একজন র্যাব ও পুলিশের তালিকাভ‚ক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার শ্যালক সন্ত্রাসী গিট্টু হৃদয় র্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হয়। গিট্টু হৃদয় মারা যাওয়ার পর কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে সে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে সে আমার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি হামলা ও লুটপাট ও ভাংচুর করে। অভিযুক্ত মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি নন। অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।