শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের প্রথম পর্বে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কা, আফগানদের টপকে সুপার ফোর পর্বে উন্নীত হওয়া। টি-২০ ক্রিকেটে টাইগারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অবশ্য আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। তারপরও জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর আশা সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভালো কিছুই করবে বাংলাদেশ দল। গতকাল প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো।
এই ফরম্যাটে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আশা করি, সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেলবে। ইনশাআল্লাহ এশিয়া কাপে ভালো কিছুই হবে।’তবে এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ দল নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা থামছে না। বিশেষ করে দলে মাত্র দুই জন ওপেনার থাকার বিষয়ে কথা উঠেছে সর্বত্র।
নাজমুল হোসেন শান্ত, মুনিম শাহরিয়ারের বাদ পড়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। পেসার শরীফুল ইসলামও দলে নেই।
১৭ জনে মাত্র দুই ওপেনার জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশ দলে ছিলেন পাঁচ জন ওপেনার। ছিলেন মুনিম, শান্ত, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। অথচ এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মাত্র দুই জন ওপেনার নিয়ে! স্বীকৃত ওপেনার শুধু বিজয় ও ইমন। ওপেনার সংকট রয়েছে দলে। বিজয়ের জায়গাটা নিশ্চিত ধরাই যায়। তার সঙ্গে ওপেনিং পার্টনার হিসেবে ইমনকে নিয়মিত দেখার সম্ভাবনা কম। এশিয়া কাপে বিকল্প তথা কাজ চালিয়ে নেওয়া, বাজি ধরার ওপেনার নামানোর পথেই হাঁটবে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে অধিনায়ক সাকিব, শেখ মেহেদী হাসানকে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে।
গতকাল বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ওপেনার সংকট নিয়ে চিন্তিত নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব, শেখ মেহেদীকে দিয়ে কাজ চালানোর চিন্তা রয়েছে। অতীতে তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেনিং করেছেন। পাঁচ ম্যাচেই মুনিমকে দেখা শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক। অনেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের জোয়ার বইয়ে জাতীয় দলে এসেছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাবু-ডুবু খেয়ে বাদ পড়েছেন। যার সর্বশেষ উদাহরণ মুনিম শাহরিয়ার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেললেও একটা সময় হারিয়ে গিয়েছিলেন মুনিম। জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কোচিংয়ে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমিতে অনুশীলন করে মূল ধারায় ফিরেন তিনি। পরে আবাহনী ও বিপিএলে ফরচুন বরিশালে সুজনের অধীনেই পারফরম করেছেন। বিপিএলে কয়েক ম্যাচে পাওয়ার প্লে তে বড় শট খেলার চেষ্টায় সফল হয়ে সরাসরি জাতীয় দলে আসেন ২৪ বছর বয়সি এই ওপেনার। গত মার্চে আফগানদের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তপ্ত জমিনে নাকাল হওয়া মুনিমের সংগ্রাম থামিয়েছেন নির্বাচকরা। এশিয়া কাপের দলে নেই তিনি। ৫ ম্যাচে ৬.৮০ গড়ে ৩৪ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ৭২.৩৪। তার প্রতি টিম ম্যানেজমেন্টের মোহ কেটে গেছে এটুকুতেই।
শান্ত-শরীফুল বিশ্রামে কোচদের কাছে অমিত সম্ভাবনা, প্রতিভার সনদ পেয়ে তিন ফরম্যাটের দলেই ছিলেন শান্ত। তুমুল সমালোচনার তোপে পড়া বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়ে সফরে খারাপ করেননি। তিন টি-২০ ম্যাচে ৭২ রান করেছেন। কিন্তু এশিয়া কাপে জায়গা হয়নি তার। জাতীয় দলে আসার পর থেকে টানা ক্রিকেট খেলছেন শরীফুল। সম্প্রতি বল হাতে খরুচে হয়ে পড়েছেন এ বাঁহাতি পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৮ ওভারে ৮২ রান দিয়েছেন তিনি। ক্লান্তির ছাপ রয়েছে তার মাঝে। গতকাল দল সূত্রে জানা গেল, কার্যত বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দুই তরুণকে।