শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
নয়াদিল্লিঃ আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ভারতের নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন।
জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকালে প্রথমেই দূতাবাস কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের মান্যবর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের পর দূতাবাস কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন মান্যবর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। এ সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ/কর্মচারীবৃন্দ ও ষ্টাফদ্বয় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন শেষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মান্যবর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মিনিষ্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দূতাবাসের উপ-হাই কমিশনার মোঃ নুরাল ইসলাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির বানী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন। সভা পরিচালনা করেন কাউন্সিলর শফিউল আলম।
সভাপতির বক্তব্যে মান্যবর হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটাই লক্ষ্য ছিলো পরাধীন জাতিকে স্বাধীন করা এবং দুঃখী বাঙ্গালীর মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে নিজের চেয়েও বেশি ভালো বেসেছিলেন বলেই তিনি আজও প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারনেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ভূ-খন্ড। জাতি হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং তার সূযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করা।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন ও শোক দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু: দ্যা লিজেন্ড ফরএভার’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময়ে হল মিলনায়তনে দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবীসহ স্থানীয় আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।