ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!

– কাজী মোঃ হাসান ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন! মহাসাগর সম রক্ত গঙ্গার এক করুণ ইতিহাস সভ্যতার মহাকাশে নির্যাতিত নিষ্ঠুর তিলক। আমি আর তো পারি না চোখের পানি ধরে রাখতে যতবার ঐ ঝলসে যাওয়া রক্ত নদীতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা শিশুর দিকে তাকাই মায়েদের গলিত লাশ দেখি ততবারই কেঁদে উঠে আমার প্রাণ, আমার বুকের গভীরে লুকিয়ে থাকা অবুঝ অসহায় শিশুর মতো- এক টুকরো ভালোবাসা। যখন দেখি হাসপাতালে হিমাগারে লাশ রাখার জায়গা নেই লাশের পরে লাশ রেখেও পাওয়া যাচ্ছে না কবর দেয়ার নিরাপদ জায়গা টুকু। আর তখনি জেগে উঠছে শিরায় শিরায় রক্ত স্পন্দন শপথের…

Read More

ক-পরিবারের সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক রাজ নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলম, কীবোর্ড এবং ক্লিক এই তিনের সমন্বয়ে সাংবাদিকদের পথচলা। ব্যতিক্রমধর্মী নাম নিয়ে সাংবাদিকদের বৃহৎ সংগঠন ‘ক’ পরিবার। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার সন্ধায় সেগুনবাগিচার ‘ক’ পরিবারের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভায় ‘ক’ পরিবারের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) নামে দুরুদ পাঠ করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দোয়াও করা হয়। অন্যবার্তার বার্তা সম্পাদক মো. শহীদ রানা সভাপতি ও দৈনিক এশিয়া বাণীর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. নাজমুল হাসান রাজ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ( ডিইউজে)’র আইন বিষয়ক…

Read More

যে যায় সে আর ফিরে আসে না

 -কাজী মোঃ হাসান যে যায় সে আর ফিরে আসে না। কখনোই না! কোনদিন না! সে আর ফিরে আসে না। যাবার বেলায় রেখে যায় শুধু এক ঝাঁক স্মৃতি আর ঝাউবনে চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদ্দুরে এক মুঠো অব্যক্ত দীর্ঘ শ্বাস। তুমি তো যাবেই যেতে যেতে একবার এইখানে এই সমুদ্র স্নানে দিগন্ত রেখার উন্মুক্ত আকাশের নিচে একটু দাঁড়াও সন্ধ্যার হালকা আবির মাখা আধো জ্যোৎস্নার বাধ ভাঙা আলোয় আর একবার তোমায় প্রাণ ভরে দেখি। মনে হয় কাছে থেকেও যেনো কতো দিন চোখ মেলে দেখিনি তোমায়! আমাকে আর একটু সময় দাও তোমার মুখটুকু ছুঁয়ে দেখি…

Read More

বংশের খাঁচায়

-কাজী মোঃ হাসান স্ফটিক স্বচ্ছতায় কবরের প্রাচীর ঠেলে জ্বলে ওঠে লাশের চোখ- এ যেন বংশের ঐতিহ্যে খানদানী জলুস হীরকে পাথর কাটে মাথার ওপর আকাশে ওড়ে গৌরব গাঁথা বাতাবি লেবুর পাতায় পাতায় রাজহংস ঝোলে, মাঝে মাঝে বজ্রপাতে চৌচির হয় বেলের খোলস! তারপরও দাম্ভিকতা, অহংকার, সম্পদের লোভ জেঁকে বসে মগজের ভেতর। আমিও কী এর বাইরের কেউ? এখনো ঘুর্ণিঝড়ের মতো হঠাৎ হঠাৎ প্রয়াত পূর্ব পুরুষের রক্ত কামড় মারে লৌহ কণিকায় সুবেশী ভদ্র শরীরে জাগে হিংস্র পশুর মতো চণ্ডাল আচরণ। ভয়ে মৃতরাও কাঁপে, গাঙচিলের আর্তনাদে শুনি সমুদ্রের গর্জন, দোলে ইথারের দেয়াল ধাক্কা খেয়ে নিঃশব্দে…

Read More

হৃদয়ের রাণী -বাতেন বাহার যার সাথে দেখা নেই কখনো আমার তার কথা এই মনে কেন বার বার? চুপি চুপি এসে যায় বুঝতে না পারি আমার সকল কাজে ছোঁয়া যেন তারি। যার সাথে দেখা নেই সে কেন আমার আলগোছে খোলে রোজ হৃদয়ের দ্বার? কেন মনে ছবি হয় তার প্রিয় মুখ অভিসারে ডেকে মোরে কেন মেলে বুক? যার সাথে দেখা নেই কেন তার মন এই মনে কথা কয় পরীর মতন? চোখ তার কেন ডোবে আমার এ চোখে? কী সাহসে সে আমার ঘরে একা ঢোকে? জানি নাতো সে কী চায় কিবা তার আশা!…

Read More

আমার বিশ্বাস

-কাজী মোঃ হাসান ঘন্টা তিনেক হলো শুয়ে আছি, শুধু এপাশ ওপাশ তবু ঘুম নেই চোখে, অন্যদিন হলে নয়টার পরেই ঢলে পড়তাম সাধ্য নেই আমায় রুখে। শুধু আজ নয়, মাস এক ধরেই চলছে এমন ঘুমহীন রাত্রিবাস, অথচ দিনের বেলায়- সোফাতেই ঢুলু ঢুলু চোখ কাজের গলায় ফাঁস। বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না, টিভিতেও মন নেই অবসন্ন ক্লান্ত শরীর, সময় কাটাতে কখনো রিং দেই এখানে ওখানে মাথায় কথার ভিড়। কিন্তু প্রায় সময়ই কেউ টেলিফোন ধরে না- ব্যস্ত এতো অবসর কার? মাঝে মাঝে বইটা হাতে নেই কিন্তু ওই পর্যন্তই চুপচাপ ঘন্টা হয় পার। কাজের…

Read More

সুখের ছাপ

-বাতেন বাহার ফজর শেষ বাবা ছোটন মাঠের পরে মাঠ মা ছুটে যান কলসি কাঁখে যেথা শানের ঘাট গাই দোহানের শব্দে ভাসে গরম দুধের ঘ্রাণ উঠোন লেপার শব্দে নাচে রাঙা বধূর প্রাণ। জায়নামাজে বসার আগে মা ডুবে রন কাজে নতুন ধানের ঝুম ঝুমানি সদাই কানে কাজে। ধান ছড়ানো ধান শুকানো ধান ভানা শেষ গুঁড়ি নতুন পিঠের খবর শুনে পায়রা হয়ে উড়ি। চুলোর পাশে মাটির পিঁড়ি কেউ বা মাদুর পেতে পিঠে খাওয়ার রমরমা সুখ প্রীতির মালা গেঁথে কুপির অলোয় মায়ের মুখে নতুন সুখের ছাপ যে ছাপ মায়ের সহজ হাসি ঘুচায় মনের পাপ।…

Read More

ভালোবাসা

-কাজী মোঃ হাসান (সাবিরা বানু রোনা আপার “প্রশ্ন”-এর জবাবে) নিশ্চয়ই মানুষ মানুষকেই ভালোবাসে অমানুষকে নয়। তাইতো গাছে গাছে ফুল ও ফসল ছুঁতে ভ্রমর অলিরা আসে। শুধু লোক দেখানো তিন দিন স্মৃতিচারণে থেমে যায় কি বুকের গভীরের তোলপাড়? কই, নাতো? বরং রাতদিন অহর্নিশি ঝরা পাতা শেষে ব্যাকুল বসন্ত এসে ভাঙ্গা মনটাতে ধাক্কা দেয় চৈতি হওয়ার মতো ঘুঘু ডাকা শান্ত স্বপ্নীল দুপুরে শত ব্যস্ততার মাঝেও একান্তে বারবার। যেনো সমুদ্র স্নান শেষে বসন্ত উল্লাসে নতুন পাতারা আসে, আগামীর নিশ্চিত আশ্বাসে। প্রকৃতির কাছে শেখা এই আহ্বান মানুষ কী উপেক্ষা করতে পারে? কখনো পারেনি আজও…

Read More

হৃদয়ের রাণী

-বাতেন বাহার যার সাথে দেখা নেই কখনো আমার তার কথা এই মনে কেন বার বার! চুপি চুপি এসে যায় বুঝতে না পারি আমার সকল কাজে ছোঁয়া যেন তারি। যার সাথে দেখা নেই সে কেন আমার আলগোছে খোলে রোজ হৃদয়ের দ্বার? কেন মনে ছবি হয় তার প্রিয় মুখ অভিসারে ডেকে মােরে কেন মেলে বুক? যার সাথে দেখা নেই কেন তার মন এই মনে কথা কয় পরীর মতন? চোখ তার কেন ডোবে আমার এ চোখে? কী সাহসে সে আমার ঘরে একা ঢোকে? জানি নাতো সে কী চায় কিবা তার আশা! আমার এ…

Read More

বর্ষার একাল ও সেকাল

-কফিলউদ্দিন ভূইয়া   এখন কবিরা বর্ষার ছবি আঁকে বর্ষার আদি-আসল রূপ না দেখে তাদের শখের হিজল কদম ও গ্রামের বাঁকে আজ পড়ে না কোথাও তেমন একটা চোখে। শহুরে কবিদের ছবিতে সেই আগের ধরা বাঁধা বর্ণনা এসব দৃশ্য আজ একালের বর্ষার সাথে মেলে না তারা দেখেনা আজ চারিদিকে বর্ষার টইটুম্বুর পানি, তলিয়ে যেতে দেখেনা বিধাব শুকুরির মার জীর্ণ বাচারিখানি। উঠোনে কোমর জল বাঁশের মাঁচায় তার কষ্টের রাত্রিযাপন। ওদিকে ঘরের চালা ভেদ করে সারারাত বৃষ্টির অঝোর বর্ষণ ক্ষুধার কষ্টে ভিঁজে ভিঁজে সারাবাত তার কাটত ক্যামন! এখন কবিরা দেখেনা দরিদ্র মানুষের কষ্টের ধারণ…

Read More