শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
চিত্রনায়ক শরীফুল ইসলাম রাজ ও অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালের মধ্যকার কিছু অসংলগ্ন কথাবার্তার ভিডিও ও স্পর্শকাতর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে সুনেরাহ এবং রাজের স্ত্রী ও নায়িকা পরীমণি বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এমন ঘটনার জন্য একে অন্যকে ইঙ্গিত করে দিয়েছেন স্ট্যাটাস, কথা বলেছেন গণমাধ্যমেও। হুমকি দিয়েছেন আইনি ব্যবস্থা নেয়ার।
ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল দাবি করেছেন, রাজের স্ত্রী ও নায়িকা পরীমণি এমন কাজ করেছে। তিনি একটি সাংবাদমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, রাজ তাকে বলেছে তার ফোন নিয়ে কেউ এটা করেছে। যদিও একই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অপর একটি সাক্ষাৎকারে রাজ দাবি করেছেন, তার আইডি হ্যাক হয়নি, তার বর্তমান ফোনেও এসব ছবি ও ভিডিও ছিল না। ফলে কোথা থেকে কি হয়েছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
এদিকে রাজ ১০ দিন ধরে পরীমণির সাথে থাকে না। ফলে রাজের ফোন তার কাছে থাকার কোনো প্রশ্ন নেই জানিয়ে রাজের স্ত্রী ও নায়িকা পরীমণি মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমার জামাই রাজ তো ১০ দিন ধরে আমার সাথে থাকে না। থাকে ওই মেয়ের সাথে। রাজই তো আমার কাছে নাই, ওর ফোন আমার কাছে আসবে কই থেকে।’
এর আগে ‘ন ডরই’ খ্যাত নায়িকা বলেন, ‘রাজকে আমি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। তবে তার বিয়ের পর থেকে প্রায় যোগাযোগ ছিল না আমাদের। সেদিন একটি ডাবিং স্টুডিওতে দেখা হলো আমাদের। আমরা একসঙ্গে ছবি তুললাম। আমি জানি না, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে একটি ছবি তোলা এমন কী অপরাধের বিষয়। তার স্ত্রী কোনো কারণ ছাড়াই পাগলপ্রায় এটা নিয়ে।’
সুনেরাহ’র এই বক্তব্যের পরেই খেপেছেন পরী। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘রাজের সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হলে সুনেরাহ দায়ী থাকবে।’
পরীমণি বলেন, ‘ওই মেয়েকে (সুনেরাহ) আমি চিনিই না। ওর সঙ্গে আমার কখনো কথাই হয়নি। তাহলে কেন ও আমাকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করছে। রাজের ফেসবুক থেকে প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে অনেকেই দেখেছেন। ওখানে ওর মুখের ভাষা কেমন ছিল। আর ওরা কি স্বাভাবিক ছিল? এটা কোন ধরনের বন্ধুত্ব? রাজের ফেসবুক হ্যাকড হয়নি। এটি করেছে ওই মেয়েই! কারণ রাজ ঘুমালে তার কোনো হুশ থাকে না।’
পরীমনি বলেন, ‘এই মেয়ে কী চায়, বেয়াদব। এগুলো কেন করতে যাব, এত লেম জিনিসপত্র। ওর নাকি এত বেস্ট ফ্রেন্ড, তাইলে বিয়ের পর কেন যোগাযোগ রাখে নাই?’
ওই মেয়ে আইনের ভয় দেখিয়েছে- আইন কি শুধু তার জন্যই। আমিও তাকে দেখে নেব, ধৈর্যের একটা সীমা আছে! আমার মনে হয় ও (সুনেরাহ) আমার সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে। তাই আমার সংসারের পেছনে লেগেছে। তার কথা ও মাতলামি দেখেছেন?’
‘রাজ তো কদিন ধরে ওর কাছে। রাজের ফোন ওর কাছে। রাজ কি আমার সাথে থাকে যে, আমি ফোন থেকে দেব ছবিগুলো।’