শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
দীর্ঘ সময় থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ সেনাদের তীব্র হামলায় পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি অনেকটাই বিপর্যস্ত। পরাশক্তি রাশিয়াকে মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালেও রুশ অভিযান তাতে বন্ধ হয়নি। রাশিয়ার সেনা অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৪০০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। শুক্রবার ( ২৭ ) এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা।
সংস্থাটির হিসেব বলছে, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে ৪ হাজার ৩১ জন মানুষ মারা গেছেন। যাদের মধ্যে ২০০ শিশুও রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই মারা গেছেন বিস্ফোরণ ও গোলাবর্ষণজনিত কারণে।যদিও সংস্থাটি এই মৃত্যুর জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করেনি। আর রাশিয়াও বরাবরই সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।