শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধ আরও ১০ বছর স্থায়ী হবে। এতে মারা পড়বেন কয়েক লাখ মানুষ। পুতিনের কড়া সমালোচক যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী বৃটিশ অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক কর্মী বিল ব্রোডার এমন দাবি করেছেন। তিনি পুতিনকে একজন ‘দানব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, পশ্চিমারা সবেমাত্র পুতিনের বিষয়ে জেগে উঠেছে। কিন্তু ২২ বছরে তিনি দৈত্যের আকার নিয়েছেন। ফলে পুতিনকে এত সময় দিয়ে পশ্চিমাদের জেগে উঠায় অনেক বিলম্ব হয়েছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য সান।
বিল ব্রোডার বলেন, এই যুদ্ধ শেষ হবে না। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ ২৪শে ফেব্রুয়ারি শুরু হয়নি। এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২০১৪ সালে।
ওই সময়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া কেড়ে নিয়েছে রাশিয়া।
পুতিনের সত্যিকার শত্রু হিসেবে মনে করা হয় বিল ব্রোডারকে। ধারণা করা হয় পুতিনের হিটলিস্টে তার নাম আছে। তাকে অনেকবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেখানে বলেছেন, ভøাদিমির পুতিন একজন উন্মাদ। রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় ‘ওলিগার্চ’ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৫০০০ কোটি পাউন্ড। দুর্নীতি বিরোধী প্রচারণায় কাজ করেন বিল ব্রোডার। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ আরও আট বছর চলবে। পুতিনও এই যুদ্ধ ছেড়ে যাচ্ছেন না। ইউক্রেনও যুদ্ধ থেকে পিছপা হচ্ছে না। একে ঘনিষ্ঠভাবে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করা চলে, যা এক দশক চলেছে এবং ১০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। যদি রাশিয়ার জন্য এই যুদ্ধ খারাপ পরিস্থিতির দিকে যায় তাহলে পুতিন আরও জোরালো করতে পারেন যুদ্ধ।
বিল ব্রোডার বলেন, পুতিনের সেনাবাহিনী এবং অর্থনীতি সঙ্কুচিত হচ্ছে। কিন্তু তিনি এমন হিসাব কখনো করেননি। আমার সন্দেহ পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে নাটকীয়ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়তো দেখিয়ে দেবেন যে, কত নিষ্ঠুর তিনি। পুতিন যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, সামরিক উপায়ে বিজয় অসম্ভব, তাহলে তিনি ঝলসে যাওয়া পৃথিবীর নীতি গ্রহণ করতে পারেন। ইউক্রেনজুড়ে মারিউপোল পরিস্থিতির মতো ধ্বংসলীলা চালিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করতে পারেন রাশিয়ার ২০ লাখ রিজার্ভিস্টকে। এমনকি বায়োলজিক্যাল ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। পারমাণবিক হামলা চালাতে পারেন। তার সক্ষমতার মধ্যে এসবই আছে। উত্তর কোরিয়ার উদাহরণ অনুসরণ করতে তিনি প্রস্তুত হতে পারেন। তার দেশকে যুদ্ধঅর্থনীতির দিকে নিয়ে যেতে পারেন। পুতিন যদি কিম জং-উন যা করেছেন তা-ই করতে চান, তাহলে তার লোকজনকে অনাহারে রাখবেন। অন্যদিকে তিনি যুদ্ধ চালাবেন। তার অবশ্যই রিসোর্স আছে।