শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। চরম উত্তেজনার এই মুহূর্তে জনসনের এই সফর বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়। সফরে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো ও সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন জনসন। জনসনের এই সফরে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনায় আসে।
এবার এক সঙ্গে কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন চার ন্যাটো রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এসব দেশ হল- পোল্যান্ড, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া।
পোলিশ প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ‘আল-জাজিরা’ এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা, লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা, লাটভিয়ার প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস ও এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট আলার কারিস এক সঙ্গে কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই তারা ভলোদিমির জেলেনিস্কর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ ভাষাভাষী অধ্যুষিত এই দুটি অঞ্চল একত্রে ডোনবাস নামে পরিচিত।
স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পর অঞ্চল দুটিকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে বুধবার ৪৯তম দিনে গড়িয়েছে এই সামরিক অভিযান। এই সময়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধীও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ফলে রাজধানী কিয়েভ ও এর আশেপাশের এলাকা এবং চেরনিহিভ থেকে পিছু হঁটতে বাধ্য হয় রুশ বাহিনী। এদিকে, আমেরিকা ও ইউরোপী ইউনিয়নের দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা