খোকসা প্রতিনিধি:
কিডনি নষ্ট হওয়া এক যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছেন খোকসার কৃতি সন্তান অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস। শ্যামলীর সিকেডি ইউরোলজি হাসপাতালে মোঃ সাগর হোসেন (২১) নামে ঐ যুবকের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। গত মাসের ৮ তারিখে এই অপারেশন সম্পন্ন হয়। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুইটি কিডনীই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আইয়ুব মন্ডলের ছেলে। জানা গেছে যে, হতদরিদ্র পরিবারটি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অপারেশনের ফি হিসেবে দুই লক্ষ দশ হাজার টাকা জমা দেয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন পরবর্তী সময়ে আনুষঙ্গিক খরচ হিসেবে আরো দেড় লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখতে বলে। ওই মুহূর্তে এতো টাকা জোগাড় করার মতো সামর্থ্য পরিবারটির ছিলো না। এদিকে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট না হলে ছেলেটাকে বাঁচনো যেত না। খোকসার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ইউটিউবার মোঃ নাহিদুজ্জামান শয়ন বিষয়টি খোকসার কৃতি সন্তান অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি (বৈজয়ন্ত বিশ্বাস) তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ কামরুল ইসলাম ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন এবং অপারেশন পরবর্তী খরচকে দেড় লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে চল্লিশ হাজার টাকায় নামিয়ে আনেন। যুবকটি বর্তমানে সুস্থ আছেন। হাসপাতাল থেকে রিলিজ পাবার পর তিনি এখন ঢাকাতে তার চাচাত ভাই মোঃ বজলুর রশিদ টুটুলের তত্ত্বাবধানে আছেন যিনি অসহায় পরিবারটিকে তার সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতার করছেন। বর্তমানে রোগীর জন্য প্রতি মাসে প্রায় দশ হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হচ্ছে। পরিবারটির তেমন কোনো আয়ের উৎস না থাকায় এই অর্থ জোগাড় করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। খোকসার সমাজসেবীদের উদ্যোগে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে দুই লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মোঃ সাগর হোসনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, “বৈজয়ন্ত বিশ্বাস স্যার অত্যন্ত বড় মনের মানুষ। তিনি যে উপকার করেছেন সেই ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না।” এছাড়া তিনি তার চাচাত ভাই মোঃ বজলুর রশিদ টুটুল, ডাঃ কামরুল ইসলাম, সমাজসেবী ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজের সচেতন সুধীজনদের প্রতি আহ্বান জানান।
আগ্রহীরা সাগরের পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন: 01402860812 (বিকাশ)
