গাজীপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পণ্ড হয়ে গেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘শোক র‌্যালি’। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে। এ সময় বিএনপির ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করেছে।
সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুর শহরে বিএনপির জেলা কার্যালয়ে সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে শোক র‌্যালি বের করতে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন বলেন, সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবির খান, আজিজুর রহমান পেরা, ভিপি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তিনি জানান, সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণ শোক র‌্যালি দলের কার্যালয় হতে বের করতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শোক র‌্যালিটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কয়েকগজ সামনে অগ্রসর হতেই পুলিশ বাধা দেয় এবং শোক র‌্যালির ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশ বিক্ষিপ্তভাবে বেধরক লাঠি চার্জ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে শর্টগানের গুলি ও কাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে যুবদল ও ছাত্রদলের ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়। এ সময় গাজীপুর সদর মেট্রো আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি রাজা মিয়া ও তার লোকজনের সহায়তায় পুলিশ বিভিন্ন পর্যায়ের ১৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি ও অঙ্গ সংঘঠনের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠান শেষ করার পরপরই সড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের মিছিল না করার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে এবং ফ্ল্যাগের ও ব্যানারের লাঠিসহ বিভিন্ন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ালশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে। আহত পুলিশ সদস্যদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জিয়াউল ইসলাম বলেন, হামলায় মহানগর পুলিশের এসআই উৎপল, কনস্টেবল কামরুল ইসলাম, মনির হোসেন ও মো: সাব্বির হোসেন আহত হন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Related posts

Leave a Comment