নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করতে হবে আমাদের-সিইসি

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী  হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব সবাইকে স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করতে হবে। সরকার ক্ষমতায় থেকেও যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে সেটি এবার প্রমাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে একটি সরকার তার দায়িত্বে থেকে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে  একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সিকিউটিভ (নির্বাহী) ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অতিরিক্ত ২ হাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটের  দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ভোটের দিন, ভোটের আগে আচরণ বিধি প্রতিপালনে কিছু অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা হয়। যেমন সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে দেয়া, কেন্দ্র দখল হয়ে যাওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এতে ভোটাররা নির্বাচন বিমূখ হন। কাজেই কোনো অবাঞ্চিত লোককে কেন্দ্রে ঢুকতে দেবেন না।
তিনি বলেন, আপনাদের  দায়িত্ব হচ্ছে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস গড়ে তুলবে হবে, তাদের বুঝাতে হবে যে, নির্বাচনের পরিবেশ আছে, আপনারা নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকরা অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন উল্লেখ করে কাছে হাবিবুল আউয়াল বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা স্বাধীনভাবে ভোট কেন্দ্রে  প্রবেশ করে অবাধে বিচরণ ও প্রচার করতে পারবেন। জনগণ যদি গণমাধ্যমে দেখে ভেতরে পরিবেশ সুন্দর আছে, ভোট স্বচ্ছ হচ্ছে তাহলে নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে ।
তিনি জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও ৮ লাখ আইন-শৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য-  ১৬ লাখ মানুষ এবার ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকবে । জাতিসংঘের সদস্য হওয়ায় এই নির্বাচন কার্যক্রম  ইন্টারন্যাশনালী ডাইমেনশন পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার  মো.  আনিছুর রহমান ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব  মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন।

Related posts

Leave a Comment