ফাঁদ তৈরিতে কারিগরদের ব্যাস্ততা থাকলেও নেই বেচাকেনা

নির্জন বিশ্বাস, খোকসা প্রতিনিধি:

বর্ষার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়ার খোকসায় খাল-বিলে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ। পানি বাড়লেই মৎস্যজীবীদের তৎপরতা বাড়ে বহুগুণ। তাই কদর বাড়ে মাছ ধরার ফাঁদ বা চারোর। কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলায় বিভিন্ন জমিতে বর্ষার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির মিঠা পানির মাছ যেমন, মাগুর, পুঁঠি, চাঁদা, খলিশা, টাকি, সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পরে।
এই অঞ্চলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বর্ষায় খাল-বিলে বা উন্মুক্ত জলাশয়ে ফাঁদ বা চারো দিয়ে মাছ শিকার করে থাকে। মাছ ধরার সহজ কৌশল চলাচলের পথে পেতে রাখা হয় ফাঁদ।
তাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এখন কেনাবেচা হচ্ছে মাছ ধরার ফাঁদ। বাঁশ দিয়ে তৈরি চারো, খৈলনি, বৃত্তিসহ মাছ ধরার বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি এবং বেচাকেনা হচ্ছে ।
বর্ষায় মাছ ধরার ফাঁদ তৈরি করতে কারিগরদের ব্যস্ততা একটু বেড়েই যায়। এতে দাম তুলনামূলক একটু বেশি হয়। কারিগররা ফাঁদ বা চারো গুলা বিক্রি করেন স্থানীয় হাটবাজারে।
বাঁশ কাটা, শলাকা তৈরি, ও ফাঁদ বোনার কাজে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত পরিবারগুলো। এই ফাঁদ দিয়ে, পুৃটি, খলিসা, টেংরা, টাকি মাছ শিকার করা হয়। এতে খাবারের জন্য বাজার থেকে মাছ কিনতে হয় না।
আজ বৃহস্পতিবার খোকসা বাজারে চারো বিক্রি করতে আসেন তায়জাল হোসেন। বয়স 70( সত্তর) পেরিয়ে গেছে। তিনি জানালেন ব্যবসা নাই। সকালে এসেছি দুপুর গড়িয়ে গেছে বিক্রি করেছি মাত্র একটা। কম বিক্রির কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব খাল বিলের পানি কম তাই কম বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ধরার ফাঁদ তৈরীর কারিগর জগন্নাথ কুমার জানান একটি বাসের দাম 250- 350 টাকা । একটি বাঁশ থেকে 6 থেকে 7 টা চারো হয় একটি তৈরি করতে দুইজনের চার দিনের মতো সময় লাগে প্রতিটি চারো বড়োটি 300-400 টাকা ও ছোটটি 200-250 টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খোকসা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ (ভারঃ) জানান উপজেলায় জেলেদের জন্য বছরে দুইবার সরকারি বরাদ্দ থাকলেও কারিগরদের জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই।

Related posts

Leave a Comment