বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় সম্ভব: অর্থমন্ত্রী

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টারঃ

এবারও বাজেট বাস্তবায়নে সরকার সফল হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় সম্ভব।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ছবি: বিশ্বজিৎ দাস বিজয়

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ছবি: বিশ্বজিৎ দাস বিজয়।

শুক্রবার (২ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট বাজেটের ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে আয় হবে।

এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা। সেই লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মতো ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ১ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছর শেষ হয়ে এলেও রাজস্ব আদায়ে এখনও প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়ে গেছে। রাজস্ব আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া এনবিআর-বহির্ভূত অন্যান্য উৎস থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছর থেকে শুরু করে বিগত দুই অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা হলেও এবার তা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নারীদের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ ও তৃতীয় লিঙ্গের করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ধার্য হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। গত বছর এ পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা ও ৯৫ হাজার কোটি টাকা।

Related posts

Leave a Comment