বার্লিনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

“মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা”-এই প্রতিপাদ্যে বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ।
উদযাপন অনুষ্ঠানের শুরুতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সহ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সকলের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ করা হয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। । আলোচনা অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে, একজন সহধর্মিণী ও রাজনৈতিক জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর অনুকরণীয় অনন্য ভূমিকা ।
উপর্যুক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন শাশ্বত বাঙালি স্ত্রী ও বাঙালি মায়ের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর কিশোর বয়স থেকে শুরু করে আমৃত্যু তার পাশে থেকে বঙ্গমাতা তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনে তার পাশে ছায়া হয়ে থেকেছেন, তাকে সাহায্য-সহায়তা করেছেন। জাতির পিতার ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে তার স্ত্রীর অবদান সবচেয়ে বেশি। সেজন্যই তিনি বঙ্গমাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু যেমন ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন, তেমনি শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব তার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষ অংশীদার, ভুক্তভোগী ও প্রেরণাদায়ী হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েই শুধু নয়, মৃত্যুতেও সাথী হয়েছিলেন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই শাহাদত বরণ করেন তিনি। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর ০৮ আগস্ট বাংলাদেশ সহ সকল দূতাবাসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও পদক প্রদানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে মান্যবর রাষ্ট্রদূত সাধুবাদ জানান। মান্যবর রাষ্ট্রদূত অভিমত ব্যক্ত করেন যে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা তাঁর পিতা ও মাতার মতই দৃঢ়তা ও সততা অবলম্বন করে প্রাজ্ঞতা ও সাহসের সাথে দেশ পরিচালনা করছেন।
পরবর্তীতে জাতির পিতা, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ ও জীবিত সদস্যদের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

Related posts

Leave a Comment