বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯, জুবাইদার ৩ বছরের কারাদন্ড

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টারঃ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ জুলাই এ মামলায় আদালতে সবশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তারেক ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদের পলাতক দেখানো হয়।

জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলার বাকি দুই আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানু। ২০০৮ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।

গেজেটে বলা হয়, তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।

গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে তারা পলাতক।
তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

Related posts

Leave a Comment