শ্রীলঙ্কা ২৮০ রানে অলআউট, শেষ বিকেলে ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে অলআউট করে দিয়েও সুখকর অবস্থানে থেকে প্রথম দিন শেষ করতে পারল না বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৩২ রান তুলতেই টাইগাররা হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট।

জাকির হাসানের উইকেট ‍দিয়ে শুরু। ৮ বলে ৯ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তও স্থির হতে পারেননি উইকেটে। সেই ফার্নান্দোর ওভারে তিনিও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন। জাকির ৯ রান করলেও শান্ত করেন ৫ রান। ৭ বল মোকাবিলা করে মুমিনুল হক কাসুন রাজিথার শিকার হন।

প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের নামের পাশে মাত্র ৩২ রান। ৯ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে অপরাজিত তাইজুল ইসলাম।

সিলেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল শ্রীলঙ্কা। খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার মাদুশকাকে তুলে নেন খালেদ। তার আউটের পর অবশ্য মন্থর ব্যাটিং করতে থাকে লঙ্কানরা। প্রথম উইকেট হারানোর পর কুশাল মেন্ডিসকে নিয়ে ৩৭ রানের জুটি গড়েন দিমুথ করুনারত্নে। ইনিংসের ১২তম ওভারে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেন্ডিস। ওই ওভারের শেষ বলেই বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন করুনারত্নে।

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ইনিংসের ১৪তম ওভারে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শরিফুলের বলে মিরাজের কাছে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৯ রান করে ফেরেন দিনেশ চান্দিমাল। ৫৭ রানে তখন ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে সফরকারীরা।

এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে বড় জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনের পুরোটা সময়ই মারকুটে ব্যাট করেন তারা। ২০২ রানের জুটির পর কামিন্দুকে ফেরান এই টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হওয়া নাহিদ রানা। শ্রীলঙ্কার দলীয় ২৫৯ রানে কামিন্দুর উইকেট নেন তিনি। তার ছোড়া ‘গুলিসম গতি’র বলে আলতো ব্যাট ছুঁয়ে লিটন কুমার দাসকে ক্যাচ দেন লঙ্কান ব্যাটার। তার আগে অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নেন কামিন্দু। ১২৭ বলে ১০২ রান করেন তিনি। এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

কামিন্দু ফেরার পর ধনাঞ্জয়াকে সঙ্গ দিতে নামেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। একটু পরই সেঞ্চুরি তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। চার হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পান সিলভা। নাহিদের পরের ওভারে তিনি আউট হন মেহেদী মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে, ১৩১ বলে লঙ্কান অধিনায়ক করেন ১০২ রান। এরপরের ওভারের চতুর্থ বলে নাহিদ ফেরান জয়াসুরিয়াকে। তাইজুল ইসলামের বলে বিশ্ব ফার্নান্দো ক্যাচ দেন লিটনকে।

শ্রীলঙ্কার দশম ব্যাটার হিসেবে আউট হন লাহিরু কুমারা। রান নিতে গিয়ে ‍ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন তিনি। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন কাসুন রাজিথা। লঙ্কানদের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ ও নাহিদ। একটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

Related posts

Leave a Comment