শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও ভারী গোলাবারুদের আওয়াজে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ দুপুরে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৮টার আগে থেকে সীমান্তের ওপারে ভারী গোলাবারুদের শব্দ শোনা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর শুধু গুলির আওয়াজ আসতে থাকে। মনে হচ্ছে, আমাদের পুরো সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠছে। সবাই ভয় ও আতঙ্কে আছি । কিন্তু এলাকা ছেড়ে যাব কোথায়’।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাখাইনদের সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাতের মধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা। সীমান্ত এলাকাবাসী আপাতত যার যার ঘরে অবস্থান করছে। সীমান্তজুড়ে এখনও বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কবাস্থায় রয়েছে ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ইসলাম দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, “সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা আমাকে সকাল থেকে গোলাগুলির খবর জানিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিয়েছি যে খুব জরুরি না হলে কেঊ যেন ঘর থেকে বের না হয়। তারা যেন ঘরের ভেতর থাকেন। বাচ্চাদের ঘরে রাখেন।
তিনি জানান, “অনেক সময় দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা গভীর বনে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে যান এবং সেখানে পাহাড়ের ঢালে অনেকেই জুম চাষও করে থাকেন। যেহেতু সেখানে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছে তাই আপাতত তাদেরকে এসব কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিমান্তবর্তী এলাকার বাংলাদেশিরা আশঙ্কা করছেন, রাক্ষাইন অঞ্চলে এখনো যেসব রোহিংগা অবস্থান করছেন তাদেরকে আরেক দফা বিপদের মাঝে ঠেলে দিতে মিয়ানমার জান্তা যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার আর কামান বন্দুক নিয়ে গ্রাম-গঞ্জের জনপদে হামলা তীব্র করেছে। তারা চায় চরম নিরাপত্তাহিনতার মাঝে রোহিঙ্গারা আবারো বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যাক। তবে এবার যাতে আর কোনো রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক রয়েছে স্থানীয় জনগন এবং সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি। -পার্সটুডে

Related posts

Leave a Comment