গাংনীতে এম,বি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এমবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্চ্ছোচারিতার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি , শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক সদস্য এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আয়োজনে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গংবাদ সম্মেলনে সভাপতির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন রেজুলেশনে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গোপনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনের লক্ষ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডে পকেট কমিটি প্রেরণ করেছে। তিনি বলেন, পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের যে বিধান, খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন, চুড়ান্ত ভেটার তালিকা শিক্ষার্থীদের জানানো হয়নি এমনকি নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুঁয়া খসড়া তালিকা ও চুড়ান্ত ভোটার তালিকা করে অসাধু উপায়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আব্দুর রব এর নাম সভাপতি হিসেবে যশোর বোর্ডে প্রেরণ করেছে। এব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডে বিদ্যালয় পরিদর্শক মহোদয়কে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর জেলা প্রশাসক মহোদয়কে প্রধান কনে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এটা সুষ্ঠু তদন্ত করে এই অবৈধ উপায়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধে এলাকাবাসীর দাবি পুরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন সাংবাদিক বন্ধুদের।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, এই অবৈধ প্রক্রিযার সাথে জড়িত প্রদান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ যারা জড়িত তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি শহিদুল ইসলাম আরও জানান, আনোয়ার হোসেন নিজেকে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে পরিচয় দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তিনি গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারী পদে নিয়োগ প্রাপ্ত স্টাফ। অথচ তিনি কলেজের পদ গোপন রেখে উক্ত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। একজন ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারী অর্থ উত্তেলন করতে না পারলেও আনোয়ার হোসেন ভূয়া পরিচয় দিয়ে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। এনিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদেও মধ্যেও অসন্তোষ বিরাজ করছে। পরিচালনা পর্ষদ গঠন হলেও বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বিষয়টি জানেন না। এছাড়াও অফিসের হাজিরা খাতায় অন্যান্য শিক্ষকদেও নিয়মিত হাজিরা স্বাক্ষর থাকলেও প্রধান শিক্ষকের হাজিরা খাতায় কোন স্বাক্ষর নেই।
এব্যাপারে গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এক ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন না। তিনি আমার কলেজে নিয়মিত কর্মচারী হিসাবে চাকরী করেন।
এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক জানান, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related posts

Leave a Comment