কলাপাড়ায় ইসতিসকার নামাজে মুসুল্লিদের কান্না

কলাপাড়া প্রতিনিধি:

কলাপাড়ার খেপুপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ চত্ত্বরে খোলা আকাশের নিচে শনিবার সকাল ৮টায় শত শত মুসল্লিরা বিজরিত কন্ঠে ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া করেন।
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র দাবদাহ, তীব্র রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ কলাপাড়া উপকূলীয় সকল শ্রেণীর মানুষ। প্রখর রোদ আর অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের নানা রকম ফসল। তীব্র গরম থেকে পরিত্রান পেতে কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহ্ধসঢ়;র কাছে ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করে মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড খড়া থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহ্ধসঢ়;র কাছে বিশেষ মোনাজাত করেন শত শত মুসুল্লি। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, কেন্দ্রী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মো: সাইদুর রহমান। নামাজ ও দোয়ায় বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র, মসজিদের ইমাম, যুবকসহ শতশত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহ্ধসঢ়;র কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচন্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খড়ায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্ত পড়েছেন কৃষকরা। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিশু- বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। তাই আল্লাহ্ধসঢ়;র অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। রাসুল (সা.) তাঁর সময়েও বৃষ্টির জন্য এমন সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’
কলাপাড়ায় এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা মধ্যে ওঠানামা করছে। ধারাবাহিক এই উচ্চ তাপমাত্রার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জনজীবন হয়ে উঠেছে অসহনীয়।

Related posts

Leave a Comment