মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরও দুটি আঞ্চলিক সদর দপ্তর দখলের দাবি আরাকান আর্মির

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ম্রোউক ইউ এবং কাওয়াকতাউ টাউনশিপে দেশটির জান্তা বাহিনীর আরও দুটি আঞ্চলিক সদর দপ্তরের দখলের দাবি করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সশস্ত্র যোদ্ধারা।
আরাকান আর্মির পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ম্রোউক ইউ-তে বেশ কয়েকদিনের সহিংস সংঘাতের পর স্থানীয় সময় সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি)-৩৭৮ সদর দপ্তরের দখল নেন তাদের যোদ্ধারা।
এর আগের মঙ্গলবার, আরাকান আর্মি কাছের এলআইবি ৫৪০ সদর দপ্তর দখল করে এবং টাউনশিপে এলআইবি ৩৭৭ ঘাঁটিতে হামলা চালায়।
আরাকান আর্মি আরও দাবি করে, সশস্ত্র বাহিনীর এই তিনটি ব্যাটালিয়ন ম্রোউক ইউ রাজ্যের ঐতিহাসিক রাজধানী ম্রোউক ইউ প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর, শহরের আবাসিক এলাকা এবং আশপাশের গ্রামগুলোতে নির্বাচারে গোলাবর্ষণ করে। এর জেরে বিদ্রোহীদের সশস্ত্র হামলার মুখে ঘাঁটি থেকে পালিয়েছে সেনারা।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী দুটির সদস্যরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বরাত দিয়ে ‍ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে
এর আগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিদ্রোহীরা আরও দুটি ঘাঁটির দখল নেয়। মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা মিয়ানমার নাউ-এ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেআইএ এবং কেপিডিএফ মিয়ানমার সেনাবহিনীর নামতিন ঘাঁটি ঘেরাও করে হামলা চালায়। ঘাঁটিটি রাজ্যের রাজধানী মাইতকিনা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তার ১৪ মাইল পূর্বে পাকান্তে অবস্থিত।
কেপিডিএফের এক কর্মকর্তা বলেন, টানা চার ঘণ্টা যুদ্ধ করার পর জান্তা সেনারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পাকান্ত ক্যাম্পের পাশাপাশি ওইদিনই মানসি টাউনশিপের আরেকটি সেনাঘাঁটিও দখল করেছে কেআইএ ওকেপিডিএফ।
এর আগে, এক প্রতিবেদনে দ্য ইরাবতি জানায়, মিয়ানমারজুড়ে হামলা জোরদার করেছে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহীরা। এতে গত তিনদিনে পিডিএফ ও এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএও) হামলায় ৬২ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু সামরিক ঘাঁটিও দখল করেছে বিদ্রোহী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
সূত্র: দ্য ইরাবতি

Related posts

Leave a Comment