সুজনের চোখে ‘পুরো দোষ ক্রিকেটারদের’

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেয়া লক্ষ্য ১৫৭ রানের। কিন্তু ১০ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। হাতে তখনো দুটি উইকেট অক্ষুণ্ন। সেইসঙ্গে ২-১ এ হার দিয়ে শেষ হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। অথচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে গেল কয়েক বছর ধরেই টানা জিতে আসছে টাইগাররা। এই হারে প্রশ্ন ওঠে টাইগার টি-টোয়েন্টি দলের সক্ষমতা নিয়ে। আবার অনেকের মতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপরিকল্পতি দল কার্যক্রমেই এই অবস্থা। তবে সাবেক অধিনায়ক, বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুুদের চোখে পুরো দোষটাই ক্রিকেটারদের। তিনি বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে।
কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেবো। আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেবো। তাদের প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভুল ছিল।’ তবে ক্রিকেটারদের দোষ দিলেও তাদের যোগ্যতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই খালেদ মাহমুদের। তারা সেরা দলই গড়েছেন বলে বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, ‘যাদের নেয়া হয়েছে তারা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা ক্রিকেটার। সবাই পারফর্ম করেই এখানে এসেছে। মুনিম শাহরিয়ারের যদি কথা বলেন, পারভেজের কথা বলেন, দু’জনই লোকাল টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করা ক্রিকেটার। আপনি সেরা পারফর্মারদেরই তো নিয়ে এসেছেন। তারা যদি পারফর্ম না করে তাহলে কী আর করার থাকে!’ শুধু তাই নয় টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর দায়িত্বটা সুজন দিয়েছেন ক্রিকেটাদের ঘাড়েই। তিনি মনে করেন করণীয় কি তা ঠিক করবেন দলের খেলোয়াড়রাই। সুজন বলেন, ‘করণীয়টা কী এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে এক-দুই রান করে নিয়ে থিতু হয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ ও শান্ত। তবে দলের প্রয়োজনের সময় বড় শট খেলতে না পেরে উল্টো সাজঘরে ফিরেছেন দলের বিপদ বাড়িয়ে। ২০ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে শান্ত ফেরার পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আউট হয়েছেন ২৭ বলে ২৭ রান করে। তারা দু’জনে ৫৭ বল খেলে রান তুলেছেন মাত্র ৪৩ রান। যেখানে তাদের ব্যাট থেকে মাত্র একটি চার এসেছে। ছিল না ছক্কা মারার তেমন কোনো প্রচেষ্টা। দলের রানরেট বেড়ে যাওয়ার পরও ব্যাটারদের মাঝে দ্রুত রান তোলা কিংবা ছক্কা মারার প্রবণতা দেখতে না পেরে বেজায় চটেছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের জেতাটাই স্বাভাবিক ছিল। হারটা ছিল অস্বাভাবিক। আমরা জানি যে ওভারে আমাদের ১০-১২ করে লাগবে। কাউকে দেখলাম না যে একটা ছয় মারার চেষ্টা করছে। সবাই ২-১ করে নিচ্ছে। আমি একটা স্কোর করে নিজের জায়গাটা ঠিক রাখলাম, এটা কি ওই ধরনের কিছু কিনা, আমি ঠিক জানি না। আপনি যদি ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন, তাহলে এখানে রান তাড়া করে জিততে পারবেন না। একজন-দুজনকে তো শট খেলতে হবে। ওদের দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট দেখুন। এখানে ভিন্ন কিছু করার প্রয়োজন ছিল না।’

 

Related posts

Leave a Comment