গাংনীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে কাজলা নদীর মাটি বিক্রি

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
গাংনীতে ড্রেজার দিয়ে কাজলা নদীর মাটি অবৈধভাবে কেটে বিক্রির মহোৎসব চলছে। মাটি ব্যবসায়ী উপজেলার হিজলবাড়ীয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য স্বপন এখন ্েবপরোয়া। অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নদী খাল বিল সব বেদখল হলেও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউপির অন্তর্গত হিজলবাড়ীয়া -থেকে ভোমরদহ সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃত প্রায় কাজলা নদী নাব্যতা হারিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার কারনে হিজলবাড়ীয়া গ্রামের স্বপন, হিন্দা গ্রামের মফিজুল, শাহাবউদ্দীন ও বকুল নামের কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী রাজনৈতিক স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বর , রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রাত দিন ধরে লাখ লাখ টাকার মাটি কেটে বিক্রি করছে। প্রতিদিন এসকেভেটর দিয়ে ৪/৫ টি ট্রাক্টর ট্রলি দিয়ে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী ইটভাটা এবং গ্রামের পুকুর বা বাড়ীতে গর্ত ভরাট করার জন্য গাড়ি প্রতি ৯ শ. টাকা থেকে ১ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে। স্থানীয়দের হিসেব মতে প্রতিদিন ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কাজলা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ট্রলিতে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে করমদি বহলপাড়া গ্রামের আকছাদ আলীর ছেলে ট্রলি চালক সাব্বির হোসেন(২০), একই গ্রামের শিকদার পাড়ার আনছারুল হকের ছেলে রিপন(১৮) এবং এসকেভেটর চালক কালীগাংনী গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে রানা (২০) প্রথম দিকে পালিয়ে গেলেও পরে এসে বিস্তারিত জানার পর ফিরে এসে তথ্য প্রদান করে।তারা জানায়, মাটি বিক্রেতা স্বপন আমাদের প্রতিদিন গাড়ি প্রতি ২ হাজার ৫ শ’ টাকা করে দেয়।এছাড়া গাড়ি চালকদের প্রতিদিন ২০০ টাকা করে বখশিস দেয়। গাড়ির জ্বালানী খরচ মাটি বিক্রেতা দেয়। এসকেভেটর চালক রানা জানায়, আমি লেবার মানুষ। গাড়ীর মালিক হিজলবাড়ীয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের।
এব্যপারে মাটি ব্যবসায়ী স্বপনের সাথে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এসেছিল। আমি থানার ওসি সাহেবের সাথে আলাপ করেই আমি মাটি কাটছি।
এনিয়ে গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান,নদীতে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি আমি শুনেছি। পুলিশ পাঠিয়ে নিষেধ করেছি। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে মাটি কাটা হলে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না।
একইভাবে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা কে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও অজ্ঞাত কারনে কোন ভূমিকা নেয়নি।

Related posts

Leave a Comment